Bajaj CT 110: ভারতীয় সড়কের কথা মাথায় রেখে বাজাজের তরফে ভারতে লঞ্চ করা হয়েছে বাজাজ সিটি ১১০ (Bajaj CT 110) বাইক। এই বাইকের মেন্টেইনেন্স খরচ খুবই কম। সাধ্যের মধ্যে রয়েছে দুর্দান্ত মাইলেজ। মাত্র ৮ হাজার টাকা দিয়েই এই বাইক বাড়িতে জানান সম্ভব! আজকের প্রতিবেদনে এই বাইক নিয়েই বিস্তারে আলোচনা করা হল।
Bajaj CT 110-এর ইঞ্জিন ও মাইলেজ (Engine & Mileage of Bajaj CT 110)
১. এই বাইকে আছে ১১৫ সিসি সম্পন্ন সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন।
২. উক্ত ইঞ্জিনের দৌলতে বাইকটিতে সর্বাধিক ৯.৮১ Nm টর্ক ও ৮.৬ Ps শক্তি উৎপন্ন হতে পারে।
৩. গাড়িটিতে ৪ স্পিড সম্পন্ন ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স আছে।
৪. ১১ লিটার ক্যাপাসিটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক রয়েছে।
৫. ARAI অনুসারে এই বাইকটির সর্বোচ্চ মাইলেজ ৭০ কিমি/ লিটার।
৬. এই বাইক সর্বাধিক ৯০ কিমি/ ঘন্টা গতিবেগ দিতে পারে।
Bajaj CT 110-এর ফিচার্স(Features of Bajaj CT 110)
১. হেডলাইট ও টেললাইট রয়েছে। আছে টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্পও। এই তিন প্রকারের লাইটেই এলইডি বৈশিষ্ট্য আছে।
২. টিউব টায়ার ও অ্যালয় হুইল আছে বাইকটিতে।
৩. তিনটি কালার ভ্যারিয়েন্টে এটি উপলব্ধ রয়েছে। রং তিনটি হল- ম্যাট ওয়াইল্ড গ্রীন, এবনি ব্ল্যাক রেড ও এবনি ব্ল্যাক ব্লু।
৪. এই বাইকের কার্ব ওয়েট হল ১০৬ কেজি।
৫. অ্যানালগ ওডোমিটার ও স্পিডোমিটার আছে।
৬. লাইটিংয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে এই বাইকে।
Bajaj CT 110-এর দাম (Price of Bajaj CT 110)
১. এক্স শোরুমে এটি ৬৭ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে।
২. অন-রোডে এর দাম পড়বে ৮২ হাজার টাকা।
এককালীন টাকা না দিতে পারলেও এই গাড়ি কেনা সম্ভব। মাত্র ৮ হাজার টাকা দিলেই বাড়িতে গাড়ি চলে আসবে। কীভাবে? নিম্নে সবটা ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল।
Bajaj CT 110 কেনার ফাইন্যান্স প্ল্যান (Finance Plan of Bajaj CT 110)
১. প্রথমে ডাউনপেমেন্ট হিসাবে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে।
২. ডাউনপেমেন্ট ঠিক মতো করলেই বাকি ৭৩ হাজার টাকা ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ হিসাবে নেওয়া যাবে।
৩. এক্ষেত্রে ৯.৭% হারে সুদ দিতে হবে।
৪. একটানা ৩৬ মাস EMI দিতে হবে।
৫. প্রত্যেক মাসে EMI হিসাবে ২৩৬৪ টাকা দিতে হবে।