Entertainment: শুধুমাত্র বাংলার নয়, দেশের অন্যতম দক্ষ অভিনেতা হলেন যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)। তিনি বাংলায় অভিনয়ে দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি কর্মসূত্রে পাড়ি দিয়েছেন দক্ষিণী রাজ্যেও। আজ তাঁর অভিনয়ের দর্শক শুধুমাত্র বাংলার মানুষ নয়, দক্ষিণ ভারতের মানুষও। যীশু হিন্দি অভিনয় জগতেও অভিনয় করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারের অংশ হয়ে তিনি খোদ জানিয়েছিলেন যে, দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি তাঁর সম্মান ফিরে পেয়েছেন।
সুদর্শন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত যে কোনোদিন খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবে, তা হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। তাঁর সুন্দর মিষ্টি চেহারা বরাবরই ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে সিনেমা জগতে। তবে ৪৭ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে দর্শকদের মিথ্যা প্রমাণ করে দিলেন তিনি। লুক ও অভিনয়ের বিষয় চয়ন উভয়ক্ষেত্রেই এক্সপেরিমেন্ট করে দর্শকদের অবাক করে রেখে দিয়েছেন যীশু।
পুজোর আগে দর্শকদের দুটো সিনেমা উপহার দিতে চলেছেন যীশু। একটি সিনেমা মুক্তি পাবে ১৯শে অক্টোবর তারিখে এবং অপরটি মুক্তি পাবে ২০ অক্টোবরে। বাংলায় ১৯ তারিখ মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি সৃজিত মুখার্জির, নাম ‘দশম অবতার’ (Dasham Avatar)। অপর সিনেমাটি মুক্তি পাবে দক্ষিণ ভারতে। ভামসি পরিচালিত সিনেমার নাম ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’ (Tiger Nageswara Rao)। এই সিনেমায় যীশুর লুক দেখেই হাঁ হয়ে থেকে গেছেন দর্শকরা।
কপালে ক্ষতের দাগ স্পষ্ট, একটা চোখ ঘোলাটে, শ্যামলা গায়ের রঙ ও ঘায়েল চাউনি, সব কিছুর একদম পারফেক্ট ব্লেন্ডিং হিসাবে প্রকাশ্যে আসে যীশুর সিনেমার চরিত্র। যীশু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লুক শেয়ার করেন। ‘সিআই মৌলি’ হিসাবে ধরা দিয়ে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “আপনারা যদি ভাবেন যে, অনেক বদমাশ পুলিশ দেখে ফেলেছেন। তাহলে দুঃখের সঙ্গে জানাই, এখনও দেখা বাকি আছে”। দাবি করা হয়েছে, এই সিনেমা স্টুয়ার্টপুরামের ‘বাগী’ টাইগার নাগেশ্বর রাওকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ধনীদের লুঠ করে তা গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া সত্তরের দশকের এই ডাকাতের প্রচলিত ‘বীরগাথা’ তুলে ধরবে সিনেমাটি।