General knowledge: সাপের পাশাপাশি একটি প্রাণী আছে যা মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম। ভাবছেন হয়তো কোন প্রাণীর কথা বলা হয়েছে। এখানে কাঁকড়া বিছের নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এই প্রাণীটি ইংরেজি ভাষায় ‘স্কর্পিওন’ (Scorpion) নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক প্রাণীর তকমা অর্জন করেছে। জানিয়ে রাখি, কাঁকড়া বিছে মূলত প্রাণঘাতী প্রাণী। এটির এক হুলেই মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।
তবে অনেকেই জানেন না, কাঁকড়া বিছে মানুষের শুধুমাত্র অপকারই করে না, উপকারও করে। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন এই প্রাণঘাতী প্রাণী আবার মানুষের প্রাণ বাঁচাতেও পারে। শুনলে অবাক হবেন যে, এই প্রাণীর বিষ সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়। কোটি টাকা দামে বিক্রি হয় কাঁকড়া বিছের বিষ। ঠিক কী কাজে লাগে কাঁকড়া বিছের বিষ?
মানুষের জীবনে কাঁকড়া বিছের অবদান:
১. কাঁকড়া বিছের বিষ ব্যবহার করে ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। এছাড়াও এটি প্রসাধনী শিল্পেও ব্যবহার করা হয়।
২. চিকিৎসাক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় কাঁকড়া বিছের বিষ ব্যবহৃত হয়। এই তালিকায় হার্ট সার্জারি, রক্তের কোষ গঠন, হাড়ের চিকিৎসা প্রভৃতির মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
কাঁকড়ার বিছের বিষ সংগ্রহ: একটি কাঁকড়া বিছে থেকে কোনরকমে ২ মিলিলি বিষ বের করা যায়। প্রায় ৩০০-৪০০ গ্রাম কাঁকড়া বিছে থেকে ১ গ্রাম বিষ পাওয়া সম্ভব হলে তবেই তা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা হয়।
(General knowledge) কাঁকড়া বিছের বিষের দাম কত?
এক লিটার কাঁকড়া বিছের বিষের মূল্য ১ কোটি ডলার। যা ভারতীয় বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৮২ কোটি টাকার সমান। এই প্রাণীটির ১ মিলিলি বিষ প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, তুরস্কের এক গবেষণাগারে ২০ হাজারের বেশি কাঁকড়া বিছে রেখে সেগুলো প্রজনন ঘটিয়ে কাঁকড়া উৎপন্ন করা হয়। এই কাঁকড়াগুলো থেকে বিষ সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। বিষ সংগ্রহ করা হয়ে গেলে এগুলোকে ঘনীভূত করার জন্য ফ্রিজে রাখা হয়। পরে সেটার প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়ে গেলে পাউডারে পরিণত করা হয় এবং ইউরোপে বিক্রি করা হয়।