Royal Enfield Himalayan: নিজের দুচাকার গাড়ি কেনার স্বপ্ন কার নেই! একটা ভালো চাকরি পেলে বা ব্যবসা একটু দাঁড়ালেই নিজের টাকায় দুচাকার গাড়ি কেনার ব্যাপারই আলাদা। নিম্ন মধ্যবিত্তের নিজের টাকায় নিজের বাইক থাকার অর্থ দীর্ঘদিনের অপূরণ থাকা স্বপ্ন পূরণ হওয়া। অধিকাংশ ছেলেই হয় রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) বা কেটিএম (KTM) বাইক কেনার স্বপ্ন দেখে থাকে। কিছুজন রয়্যাল এনফিল্ডকেই বেশি প্রাধান্য দেন। যাঁরা রয়্যাল এনফিল্ডের প্রতি আসক্ত, তাঁরা এর রেঞ্জ, ফিচার্স, স্পেসিফিকেশন, মূল্য (শোরুম ও অন রোড প্রাইস) সংক্রান্ত তথ্য ইতিমধ্যে ঘেঁটে রাখেন।
গাড়ি কেনার কথা ভাবলেই হয় না। পকেটের অবস্থার দিকে নজর দেওয়াটাও জরুরি। আজকাল নগদে কেনা ছাড়াও খুব সহজে ইএমআই (EMI) দিয়েও কেনা যায়। এক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স (Insurance), আরটিও (RTO), ইএমআই (EMI) ও ডাউনপেমেন্টের (Downpayment) মতো অপশনগুলো বিশ্লেষণ করতে হয়। এরপরে দেখতে হয় নিজের মাসিক আয়ের পরিমাণ। বর্তমানে সবচেয়ে চর্চায় রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালওয়ান (Royal Enfield Himalayan)। আজকের প্রতিবেদনে এই বাইকের দাম (শো রুম ও অন রোড) ও ইএমআই-এর পরিমাণের পাশাপাশি ইচ্ছুক ক্রেতার মাসিক আয়ের পরিমাণ ঠিক কতটা হওয়া দরকার সবটাই আলোচনা করা হল।
রয়্যাল এনফিল্ড হিমালওয়ানমনের দাম: (Royal Enfield Himalayan Price)
১. এক্স-শো রুম প্রাইস: দিল্লিতে এক্স-শোরুমে এর দাম মোটামুটি প্রায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা।
২. অন-রোড প্রাইস: এর অন-রোড প্রাইস পড়বে মোটামুটি ২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।
ফাইন্যান্সিয়াল ক্যালকুলেশন: (Royal Enfield Himalayan Financial Calculation)
নগদ দিয়ে কিনলে বাইক কেনার ঝঞ্ঝাট একবারেই মিটে যায়। কিন্ত আপনি যদি ইএমআই দিয়ে কিনতে চান, আপনার সুবিধার জন্য ডাউনপেমেন্টের পরিমাণ ১০ হাজার ধরে ইএমআই ও মাসিক আয়ের একটা আনুমানিক হিসাব নীচে দেওয়া হল।
১. ডাউনপেমেন্ট: ডাউনপেমেন্টের পরিমাণ মোটামুটি ১০ হাজার টাকা।
২. ঋণের পরিমাণ: ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট করলে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে মোটামুটি ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা।
৪. মেয়াদ: ঋণের মেয়াদ ৩ বছর।
৫. সুদের হার: ১০%।
৬. ইএমআই: এই অবস্থায় ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট করে ১০% সুদের হারে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা ঋণ নিলে সুদ সহ বাইকটির মোট দাম দাঁড়াবে মোটামুটি ২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার মতো। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে দিতে হবে মোটামুটি ৮ হাজার টাকা।
৭. তেল ও মেইনটেইনেন্স খরচ: বাইকের ইএমআই দেওয়া ছাড়াও তেল এবং মেন্টেইনেন্সের জন্য খরচ হবে মোটামুটি ২-৩ হাজার টাকা। মোট হিসাবে করলে প্রত্যেক মাসে বাইকটির পিছনে কমপক্ষে ১১ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।