Birth Certificate: বার্থ সার্টিফিকেট কেন্দ্রীক এক গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ্যে। কিছুদিনের মধ্যেই এই নথি দেশের অন্যতম দামী নথি হতে চলেছে। ২৬শে জুলাই তারিখে তথা বুধবারে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জন্ম শংসাপত্র কেন্দ্রীক একটি বিল পেশ করা হয়েছে। এই বিলটি ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩’ হিসাবে পরিচিত। এই বিল পাশ হয়ে গেলেই গুরুত্ব বেড়ে যাবে বার্থ সার্টিফিকেটের।
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক পেশ হওয়া ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩’-এ উল্লেখ করা হয়েছে একটি বার্থ সার্টিফিকেটই ভবিষ্যতে একাধিক কাজ ব্যবহার করা যাবে। ভোটার কার্ড তৈরির কাজ হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কাজ, আধার কার্ড পাওয়ার কাজ হোক বা বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের কাজে, সবেতেই ব্যবহার করা যাবে জন্ম জন্মশংসাপত্র। এমনকি এই সার্টিফিকেট সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময়ে বা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে।
বুধবারে সংসদে এই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যান্দ রাই। পেশ করার সময়ে তিনি জানান, “রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯’-কে এখনও পর্যন্ত একবারও সংশোধন করা হয়নি। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যুগে তাই এবার সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইনটিকে সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই পেশ করা হল এই বিল”।
জাতীয় ও রাজ্য স্তরে বিশেষ ডেটাবেস সমৃদ্ধ করার করার এই বিল আনা হয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও স্বচ্ছ হবে বলে দাবি করা হয়েছে। জানা গেছে, এই বিলে সংযুক্ত করা হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়। যার ফলে ভবিষ্যতে বার্থ সার্টিফিকেট অনলাইনে পাওয়ার পথ খুলে যাবে।