Advertisements
OYO New Rule: কড়াকড়ি ওয়োর (OYO) নিয়মে! হোটেলে অবৈধ কাজকারবার বন্ধ করার জন্য সরকারের তরফে আরোপ করা হল নয়া নিয়ম। এই নিয়মের দৌলতে হোটেলে বেশ কিছু মানুষের প্রবেশে জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা। নিয়ম লাগু হওয়ার পরেও যদি সেই সমস্ত ব্যক্তিদের হোটেলে দেখা যায়, তাহলে সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে।
Advertisements
দেশজুড়ে অসংখ্য হোটেল, হোম স্টে ও গেস্ট হাউস রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু হোটেল অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। কিছু হোটেল বা গেস্ট হাউস জমিবিবাদের সাথে জড়িত রয়েছে । এইবার এই সমস্ত গেস্ট হাউস ও হোটেলগুলোকে আইনি পদ্ধতির অন্তর্গত করার জন্য সরকারের তরফ থেকে আনা হয়েছে এক বিশেষ পরিকল্পনা।
(OYO New Rule) OYO-র নতুন আইন কী রয়েছে?
- উক্ত পরিকল্পনার অধীনে বিভিন্ন হোটেল, হোমস্টে, গেস্ট হাউস বা ওয়ো হোটেলের নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।
- এই প্রক্রিয়ায় অংশীদারি ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। অর্থাৎ নথিভুক্তিকরণের এই আইনের অধীনে হোটেলের মালিকদের নিজেদের তথ্য রিনিউওয়াল করাতে হবে।
- তাঁরা এমনটা যদি না করেন তাহলে তাঁদের হোটেল বা গেস্ট হাউস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, কারা এই তথ্য রিনিউওয়াল করার সুযোগ পাবেন, সেটা পুলিশই ঠিক করে দেবেন।
(OYO New Rule) সরকারের নিয়ম না মানলে কী হবে?
- কোনো নির্দিষ্ট হোটেলের মালিক সরকারের আরোপ করা নিয়ম না মেনে চললে তাঁদের হোটেল বা OYO বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- হোটেলে যাওয়া গ্রাহকদেরও নতুন নিয়ম কড়াভাবে মেনে চলতে হবে।
- বৈধ আইডি ছাড়া কোনোভাবেই তাঁরা হোটেলে থাকতে পারবেন না।
(OYO New Rule) সরকারের কড়া নিয়ম লাগু করার উদ্দেশ্য:
- এই নিয়ম লাগু করার মাধ্যমে সরকার বহু বছর ধরে চলে আসা দেহ ব্যবসা, নারী পাচার সহ নানাম ধরণের অবৈধ কার্যকলাপে লাগাম কষতে চাইছে। পুলিশ এই কাজে একাধিকবার হস্তক্ষেপ করলেও অর্থাৎ বারংবার হোটেল বা গেস্ট হাউসে হানা দিলেও তা ওই অবৈধ কাজে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, OYO-এর অন্তর্গত ও অন্যান্য বহু হোটেল আইনি ত্রুটির সুযোগ নিয়ে হোটেলে বিভিন্ন রকমের অবৈধ কাজ চালাতে থাকে। হাতের কাছে সঠিক তথ্য না থাকার কারণে আইনি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর এই জন্যেই হোটেলের নিয়মে বড়ো বদল আনা হচ্ছে।
Advertisements