Business Idea: তুলসী গাছ চাষ করেই লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। আপনি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে লাখ টাকা আয় করতে চাইলে, তুলসী চাষ করতে পারেন। আয়ুর্বেদিক জিনিসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বর্তমানে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কীভাবে চাষ করতে হবে? কেন করবেন? সবটাই নিচে বর্ণনা করা হল (small Business idea)।
তুলসী চাষ করার জন্য কী করতে হবে? (Tulsi Business Idea)
১. প্রথমেই একটি খামার নিতে হবে।
২. নিজের খামার না থাকলে চুক্তির ভিত্তিতে কারোর খামার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. তুলসী গাছ এক সুপরিচিত ভেষজ গাছ। ভেষজ গাছ বেশি জায়গা নেয় না। তাই তুলসী গাছ চাষ করার জন্য কোনো বড়ো মাপের জমির প্রয়োজ নেই। অল্প বিনিয়োগ করেই তুলসী চাষ করা সম্ভব।
৪. তুলসী চাষের জন্য নিজস্ব খামার থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কাজও নেওয়া যেতে পারে।
৫. বেশ কিছু সংস্থা আছে, যেগুলো চুক্তির মাধ্যমে অন্যদের দিয়ে তুলসী চাষ করায়। আপনি চাইলে খোঁজ নিয়ে সেই কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে মাত্র কয়েক হাজার টাকা ব্যয়েই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
৬. আপনি যদি ১ হেক্টর জমিতে তুলসী চাষ করেন, তাহলে আপনার খরচ হবে ১৫ হাজার টাকার মতো। মাস তিনেক পরে এই ফসল বিক্রি করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো আয় হতে পারে।
৭. বৈদ্যনাথ, ডাবর, পতঞ্জলির মতো সংস্থাগুলো চুক্তির উপরে তুলসী চাষ করায়। বাজারে তুলসী বীজের এবং তেলের বেশ ভালোই চাহিদা আছে।
তুলসী গাছের উপকারিতা: Benefits of Tulsi Tree
তুলসী গাছের মধ্যে থাকা মিথাইল সিনামেট ও ইউজেনলই তুলসীর চাহিদার জন্য দায়ী। তুলসীর এই উপাদানের কারণে তা ক্যানসারের ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে শুধুমাত্র সাধারণ ভেষজ গুনের জন্য নয়, মারাত্মক রোগের ওষুধ তৈরির জন্যেও এর চাহিদা রয়েছে।
তুলসী গাছ চাষের প্রক্রিয়া: (Tulsi Plant Cultivation Method)
১. তুলসী গাছ চাষের জন্য দোঁয়াশ মাটি দরকার। এই মাটিতেই চাষ ভালো হয়।
২. বীজ ব্যবহার করে তুলসী গাছের নার্সারি তৈরি করার সবচেয়ে ভালো প্রক্রিয়া হচ্ছে জুন-জুলাই মাস।
৩. হাতে নার্সারি পেলেই তা রোপণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. খেয়াল রাখতে হবে, প্রত্যেকটি চারাগাছ যেন পরস্পরের থেকে ৩০ সেমি দূরে এবং চারাগাছের লাইনগুলো যেন পরস্পরের থেকে ৬০ সেমি দূরে থাকে।
৫. ১০০ দিনের মাথায় কাটার কাজ শুরু করতে হবে।