Reduce Electric Bill: বিদ্যুতের বিল দেখলেই চোখ কপালে উঠে যাওয়ার অবস্থা সাধারণ মধ্যবিত্তদের। অনেকেই দাবি করেন, খুব একটা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করেও বিদ্যুতের বিল বেশি চলে আসে। এই সমস্যা দূর করতেই এই প্রতিবেদনে কিছু টিপস হাজির করা হয়েছে। এগুলো মেনে চলতে পারলে বিদ্যুতের বিল ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন এই টিপসগুলোর দিকে একবার নজর দেওয়া যাক (tips to reduce electricity bill at home)।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়(Tips reduce electricity bill):
১. এসির তাপমাত্রা (Temperature of AC): বাড়িতে এসি থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কখনওই এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির বেশি রাখা যাবে না।
২. ফ্রিজ ও ওটিজি (Fridge & OTG): অনেকেই একই রুমে ওটিজি বা ফ্রিজ রাখেন। এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। একই রুমে ওটিজি, ফ্রিজ ও এসি রাখলে বিদ্যুতের বিল হুহু করে বাড়তে শুরু করবে। তাই, যে রুমে এসি থাকবে, সেই রুমে ফ্রিজ বা ওটিজি রাখা যাবে না।
৩. ফিলামেন্ট বাল্ব (Filament Bulb): বাড়িতে ফিলামেন্ট বাল্ব ব্যবহার করে থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে এবং পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে এলইডি বাল্ব (LED Bulb)। এমনটা করলে বাড়িতে বিদ্যুতের খরচ অনেকটা কমে যাবে।
৪. টিভি (TV): টিভি দেখতে অনেকেই ভালোবাসেন। বহু মানুষেরই স্বভাব আছে টিভি বন্ধ করার সময় রিমোট দিয়ে স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে দেওয়ার। জানিয়ে রাখি, এতে বিদ্যুৎ বিল বেশি খরচ হয়। তাই, বিদ্যুৎ বিল কমাতে চাইলে টিভি বন্ধ করার সময়ে রিমোট দ্বারা স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে দেওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে।
৫. সুইচ বোর্ড (Switch Board): প্রয়োজন না হলে সুইচবোর্ডের সুইচ অন রাখবেন না। রুমের মধ্যে না থাকলে পাখা, বাতি প্রভৃতি বৈদ্যুতিম যন্ত্র চালিয়ে রাখলে চলবে না। এমনটা করলে বাতি ও পাখার আয়ু তো কমেই। উপরন্তু, বিলও বাড়ে।
৬. মোবাইল ফোন চার্জ (Mobile Phone Charge): মোবাইল ফোন ১০০ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে, সুইচবোর্ডের সুইচ বন্ধ করতে হবে।
৭. গরম খাবার (Warm Food): খাবার গরম অবস্থায় ফ্রিজে রাখা যাবে না। সর্বদাই ঘরোয়া তাপমাত্রায় এনে তারপরে সেই খাবার ফ্রিজে রাখতে হবে। একইসঙ্গে ফ্রিজের দরজা বেশিক্ষণ খুলে রাখা যাবে না। এতে পরে ফ্রিজ নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য বেশি বিদ্যুৎ টানবে। যা বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দেবে।