Lice Repellent Tips: মানুষ মাথায় খুশকি, চুল ঝরে যাওয়া, চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে খোলামেলাভাবে আলোচনা করলেও উকুনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে দ্বিধা বোধ করে। উকুন যেহেতু চুলের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যও প্রভাবিত করে, তাই মাথায় উকুন কোনোমতেই সহ্য করা উচিত নয়। বাজারজাত প্রোডাক্ট দিয়ে বা ঘরোয়া প্যাকের আশ্রয় নিয়ে, যেমন করেই হোক উকুন মাথা থেকে দূর করা উচিত। কেউ কেউ বাজারের উকুননাশক প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। তবে আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে চান, তাহলে এই প্রতিবেদনটি হাজির হয়েছে আপনার জন্যই। নিম্নে সবটা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
(Lice Repellent Tips) শিখে নিন উকুন দূর করার সহজ ৫ টোটকা:
১. পেঁয়াজ: পেঁয়াজের রস উকুন সহ্য করতে পারে না। এর প্যাক বানানোর জন্য ৫-৬টি পেঁয়াজ নিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এই পেস্ট থেকে ভালো করে রস নিংড়ে নিতে হবে। এই রস মাথায় লাগিয়ে নিয়ে ২ঘন্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু ও জলের সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. টি ট্রি অয়েল: একটি পাত্রে টি ট্রি অয়েল (২০ ফোঁটা) ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে দুই তেলের সেই মিশ্রণ তুলো সহযোগে মাথায় লাগিয়ে ঘুমিয়ে যেতে হবে। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। প্রত্যেক ১দিন অন্তর এটা করলে উকুন থাকবে না মাথায়।
৩. লেবুর রস ও রসুন: একটি পাত্রে লেবুর রস নিয়ে সেটাতে ৪ কোয়া রসুনের পেস্ট দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ মাথায় লাগিয়ে পুরো মাথাটাকে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিতে হবে। ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিয়ে জল ও শ্যাম্পু সহযোগে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. অ্যালকোহল: উকুন থেকে পরিত্রাণ পেতে মাথা অ্যালকোহল দিয়ে ধুলেও কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে। পুরো মাথাকে অ্যালকোহল সহযোগে মালিশ করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। উল্লেখ্য, স্ক্যাল্প জ্বলতে শুরু করলেই মাথা ধোয়ার কাজ শুরু করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহে ২বার করে একভাবে দুমাস এই কাজটি করলেই উকুনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৫. ভিনিগার: আঙুলে করে ভিনিগার নিয়ে ভালো করে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে। ৩০ মিনিট হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহে ৩দিন করে একটানা ৩ মাস ভিনিগার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।