Lottery Winning Trick: রাতারাতি ধনী হওয়া যায় লটারি কেটেই! মনে ঠিক এই আশাই রেখেই বছরের পর বছর অসংখ্য মানুষ লটারি কাটছেন। কিছু জনের ভাগ্য খুললেও, বেশীরভাগ মানুষই সারাজীবন লটারির টিকিট কাটতে থাকেন। তবে আজকের প্রতিবেদনে এমন বিশেষ কৌশল আনা হয়েছে, যা মেনে চললে লটারি জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ট্রিকটি হল ডেল্টা লটো মেথড। নিম্নে এই মেথডকে কেন্দ্র করে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
Lottery Winning Trick ডেল্টা লটো মেথড:
১. প্রথমে মনে একটি এককের ঘরের নম্বর ভাবতে হবে। উক্ত নম্বরটি ১ থেকে ৫-এর মধ্যে হতে হবে। নম্বরটি ১ ভেবে থাকলে খুবই ভালো কথা। লটারি জেতার ক্ষেত্রে ১-এর নম্বর সিরিজ চোখে পড়ার মতো। প্রায় ৬০ শতাংশ বিজেতা লটারির নম্বর ১ থেকে শুরু হতে দেখা গেছে। তবে ৩ বা ৫ বাছলেও অসুবিধা নেই।
২. এরপরে ১ ও ৮-এর মধ্যবর্তী দুটি নম্বর বাছতে হবে। এই নম্বর ২ ও ৬ কিংবা ৩ ও ৫ হতে পারে। আপনি জোড় ও বিজোড় মিলিয়েও নম্বর বাছতে পারেন।
৩. ৮-এর নিকটবর্তী একটি নম্বর নিতে হবে। নম্বরটি ৮-এর কম ৭ বা ৮-এর বেশি ৯ হতে পারে।
৪. আগের ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ৮ ও ১৫-এর মাঝে থাকা কোনো একটি নম্বর বাছতে হবে। এই নম্বরটি ১১ ও ১৩ হতে পারে বা হতে পারে ১৪ ও ১০। আপনি ৯ ও ১৪ বাছতে পারেন ।
৫. এই নম্বরগুলোকে পরপর লিখুন। ডেল্টা নিয়ম অনুসারে, এখনও পর্যন্ত মোট ৬টা নম্বর বাছা হয়েছে। ধরা যাক, নম্বরটি হল ‘১ – ৩ – ৫ – ৯ – ১১ – ১৩’।
৬. সমস্ত নম্বরকে একসঙ্গে যোগ করতে হবে। এই যোগ ফল লটারিতে দেওয়া সর্বোচ্চ নম্বরের বেশি হওয়া চলবে না। আপনার বেছে নেওয়া নম্বরের যোগফল যদি ৪২ হয় এবং সর্বোচ্চ নম্বর যদি ৫৬ থাকে, তাহলে আপনি আপনার বেছে নেওয়া নম্বরগুলোকে নিয়ে এগোতে পারেন।
৭. জানিয়ে রাখি, আপনার যোগ করা নম্বর ও লটারির সর্বোচ্চ নম্বরের পার্থক্য যদি ১৫ হয়, তাহলে নম্বর বাছার ব্যাপারে আপনি কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। যদি পার্থক্য ১৫ না আসে, তাহলে নম্বর বদল করতে পারেন।
৮. এইবার আপনি আপনার সাজানো নম্বরগুলোকে নিয়ে একটু এলোমেলো করতে পারেন। ধরা যাক আপনি ‘১ – ৩ – ৫ – ৯ – ১১ – ১৩’ নম্বরটিকে ‘৫ – ৩ – ১১ -৯ – ১ – ১৩’ হিসাবে সাজিয়েছেন।
৯. এই নম্বরগুলো লটারির নম্বর সিরিজ তৈরি করার কাজে ব্যবহার করা হবে।
১০. আপনার তৈরি করা নম্বর সিরিজের প্রথম নম্বর অর্থাৎ ‘৫’ লিখুন। এবার, এরপরে প্রথম নম্বর ও দ্বিতীয় নম্বরের যোগফল (৫+৩ = ৮) দ্বিতীয় স্থানে বসাতে হবে। অর্থাৎ নম্বরটি হবে ‘৫৮’।
১১. এবার একইভাবে বাকি নম্বরগুলো যোগ করতে হবে। এই নিয়ম অনুসারে ৮ ও ১১ যোগ করে হবে ১৯, ১৯ ও ৯ যোগ করে হবে ২৮, ২৮ ও ১ যোগ করে হবে ২৯ এবং ২৯ ও ১৩ যোগ করে হবে ৪২। এবার আপনার টিকিটের নম্বরটি দাঁড়াল ৫৮১৯২৮২৯৪২।