Cultivation Process: বেগুন এমনটা একটা সবজি যেটা বেশিরভাগ মানুষের ভালো লাগে। এই সবজিতে রয়েছে ভরপুর পুষ্টি। ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘কে’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ এই সবজি খেলে চুল ও ত্বক ভালো থাকে। এতে রয়েছে জিঙ্ক ও আয়রনও। নিয়মিতরূপে খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়, ভিভ ও ঠোঁটের ঘা ভালো হয়ে যায়, নখ তুলনামূলক মজবুত হয়। এই সবজি শীতকালীন সবজি হিসাবে পরিচিত হলেও, সারা বছরই বাজারে বেগুনের দেখা মেলে। এতে খারাপ কোলেস্টেরল না থাকায় মধুমেহ রোগীদের জন্যেও উপকারী।
বেগুন গাছ অনেকেই বাড়িতে চাষ করতে চান। বহু মানুষই আছেন বাড়ির বাগানে বা ছাদবাগানে চাষ করতে ভালোবাসেন। এই শখের বশে অনেকেই বাড়িতে বেগুন চাষও করেন। তবে কখনও পোকামাকড় (মিলি বাগ ও সাদা মাছি) আক্রমণ হলে বা সবজি পচে গেলে বা পাতা কোঁকড়ানো রোগ দেখা দিলে তা চিন্তার বিষয় হয়ে যায় বাগান মালিকদের। তবে একটা বিশেষ উপায় আছে, যেটা মেনে চললে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। কী সেটা? জানতে হলে পড়তে হবে এই প্রতিবেদন।
উল্লিখিত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে চাইলে একটি বিশেষ জিনিস প্রয়োগ করতে হবে। এই জিনিসটি নিয়ম মেনে প্রয়োগ করলে শুধুমাত্র বেগুন গাছই নয়, অন্যান্য গাছেও উপকার পাওয়া যাবে। গাছে সাদা মাছির আক্রমণ, লঙ্কা গাছের পাতা কোঁকড়ানো রোগ, জবা গাছে মিলিবাগের আক্রমণ, পেয়ারা গাছের পাতা লালচে হয়ে যাওয়া সমস্ত সমস্যা থেকেই মুক্তি পাওয়া যাবে।
(Cultivation Process) What should we use in plants?
এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হচ্ছে ন্যাপথলিনকে (Naphthalene use in plants) নিয়ে। এই ন্যাপথলিন সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে গাছের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
গাছে কীভাবে ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে হবে? (How to use Naphthalene in plants?)
একটি পাত্র নিতে হবে। সেই পাত্রে ঠান্ডা জল নিতে হবে, গরম জল নিলে চলবে না। এরপরে ৫-৬টা ন্যাপথলিনের দানা নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। ১/২ লিটার জলে দেড় চা চামচ ন্যাপথলিন গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপরে এতে ৩ চা চামচ ভিনিগার, ১ চা চামচ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ বা ডিটারজেন্ট ও ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে আরও ১/২ লিটার জল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে গাছে স্প্রে করে দিতে হবে।
গাছকে পিঁপড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচাতে চাইলে গাছের চারপাশে ন্যাপথলিন গুঁড়ো দিলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।