New Lok Sabha bill: বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান কেন্দ্রীক বড়ো ধরণের খবর প্রকাশ্যে। পাশ হতে চলেছে নতুন আইন, যা ভবিষ্যতে বিয়েবাড়ির রূপরেখা বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে। ওই বিল পাশ হয়ে গেলে বিয়েবাড়িতে আর ১০০ জনের বেশি অতিথি ডাকা যাবে না, ১০টার বেশি পদও বানানো যাবে না। বিস্তারিত জানতে নজর রাখুন এই প্রতিবেদনে।
বিয়ে বাড়ি মানেই একাধিক অনুষ্ঠান। নানান রকমের লোভনীয় খাওয়াদাওয়া ও রকমারি অনুষ্ঠানের আসর হল বিয়েবাড়ি। ধর্ম ভিন্ন হলেও, প্রায় প্রত্যেক বিয়ে বাড়িই আজকাল সাড়ম্বরে আয়োজিত হতে দেখা যায়। বিনা জাঁকজমকের ভিড়হীন বিয়েবাড়ির সংখ্যা বর্তমানে নগন্য। চারিদিকে ঝলমলে আলোর উপস্থিতিতে সানাইয়ের আওয়াজ গুঞ্জিত হতে দেখা যায় বিয়েবাড়িতে।
তবে এই বাড়িতেই পকেট হালকা হয়, এটাও অস্বীকার করা যায় না। কারোর কয়েক বছরের উপার্জিত ও সঞ্চিত টাকা খরচ হয় বিয়ে করতে গিয়ে, তো কারোর সারাজীবনের পুঁজি শেষ হয়ে যায়। বহু মানুষকে তো জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন বিয়েবাড়ির আয়োজন করতে গিয়ে বাড়ি-জমি বন্দক রাখতে হয়। এইসব বিষয়কে মাথায় রেখেই এবার লোকসভায় পেশ করা হল বিয়েবাড়ির অত্যাধিক খরচ কেন্দ্রীক নয়া বিলের প্রস্তাব।
New Lok Sabha bill বিয়েবাড়ি খরচ নিষেধাজ্ঞা বিল সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য:
১. বিলটির নাম “প্রিভেনশন অফ ওয়েস্টফুল এক্সপেন্ডিচার অন স্পেশাল ওকেশন্স বিল, ২০২০”।
২. এই বিলটি লোকসভায় পেশ করেছেন (Wedding Ceremony Expenditure Restriction Bill was introduced by) পাঞ্জাবের রাজনৈতিক দলের অন্তর্গত সাংসদ জশবীর সিং গিল (Jasbir Singh Gill)। তিনি পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
৩. বিলটি আজকের নয়। তিনি এই বিলটি পেশ করেছিলেন (Wedding Ceremony Expenditure Restriction bill was introduced in) প্রায় ৩ বছর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে।
৪. এই বিলের উদ্দেশ্য হল বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে করা খরচে লাগাম কষা।
৫. বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে ১০০-এর অধিক অতিথি ও ১০-এর বেশি পদ হাজির না করার উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।
New Lok Sabha bill বিয়েবাড়ি খরচ নিষেধাজ্ঞা বিলের উদ্দেশ্য:
দাবি করা হয়েছে, এই বিল পাশ হলে অনেকেরই অতিরিক্ত খরচ নিয়ন্ত্রণে আসবে। একইসঙ্গে অনেকের কাঁধ থেকে বন্দক বা ঋণের বোঝাও কমবে।
New Lok Sabha bill বিলকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া:
বিলের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়ে গেছে। যা পুরো নেটজগৎকে কার্যত দুইভাগে ভাগ করে দিয়েছে। নেটিজেনের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, বিয়েরবাড়ির খরচে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিল পাশ হলেই কি খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে? এখানেই নেটজগতের অপর অংশের দাবি, ইতিহাস বহু যুগান্তকারী আইনের সাক্ষী থেকেছে। প্রথমে আইন পাশ হলেও তা বলবৎ হতে সময় লাগে। সেই আইনকে বুঝতেও মানুষ কিছুটা সময় নেয়। কিন্তু, একটা সময় সমাজে বদল আসেই! আর এই জন্যেই বহু নেটিজেন এই আইনকে কেন্দ্র করে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।