RBI New Circular: ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India)। বহু মানুষই আছেন, যাঁদের ঋণ নিয়ে ঋণ মেটানোর ক্ষমতা আছে। কিন্তু এরপরেও তাঁরা ঋণ মেটান না। আরবিআই-এর তরফে সম্প্রতি একটি খসড়া (RBI New Circular) পেশ করা হয়েছে। এই খসড়াতেই বলা হয়েছে যে, যাঁরা ক্ষমতা থাকার পরেও ঋণ শোধ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ মেনে আরবিআই (RBI)।
ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে আরবিআইয়ের খসড়া (RBI New Circular of Loan Defaulters)
১. আরবিআই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ২৫ লক্ষের বেশি টাকার ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে।
২. রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে যে, ঋণখেলাপীদের বিশেষ শাস্তি দেওয়া হবে।
৩. ঋণখেলাপীর বিরুদ্ধে আরবিআই-এর তরফে আনা এই নিয়ম আদালতের পরামর্শ ও লোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই প্রস্তুত করা হয়েছে।
৪. নতুন ঋণ নেওয়ার আগে পুরোনো এনপিএযুক্ত অ্যাকাউন্টের ঋণ মেটাতে হবে।
৫. খসড়ায় আরবিআই এও প্রস্তাব দিয়েছে যে, কোনো ঋণ অ্যাকাউন্ট এনপিএ হয়ে গেলেই পরবর্তী ৬ মাসের মাথায় এটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপী অ্যাকাউন্টের তকমা দেওয়া উচিত।
কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী ট্যাগ পেলে কী হবে? (What happens when a person gets Loan Defaulters tag?)
১. এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোথাও ঋণ নিতে গেলে সমস্যায় পড়বেন।
২. উক্ত ব্যক্তিরা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা হারাবেন।
৩. একইসঙ্গে তাঁরা ঋণ পুনর্গঠনের সুবিধা পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন।
৪. খসড়ায় এনবিএফসি (NBFC)-কে সঠিক নিয়ম মেনে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ হয়েছে।
৫. ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদেরকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্ক যাতে ভবিষ্যতে আর কখনও কোনোভাবেও ঋণ না দিতে পারে, এমন ব্যবস্থা তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে খসড়ায়।
হঠাৎ ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ কী? (Why RBI has taken step against Loan Defaulters?)
১. গত বছরে শেষ মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরে ইচ্ছাকৃতভাবে না মেটানোর ঋণের পরিমাণ ছিল ৩.৪ লক্ষ টাকা।
২. ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ না মেটালে তা ব্যাঙ্কের ভাষায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতারা ঋণ নিয়ে না মিটিয়ে পালিয়ে যান। এর ফল ভোগেন অন্যান্য আমানতকারীরা।
৩. ঋণ না মেটানোর কারণে ব্যাঙ্কের কাঠামোও নড়বড়ে হয়ে ওঠে।