Twin Banana Myth: অনেকেই দাবি করেন সন্তান হওয়ার উপরে জোড়া কলা উল্লেখযোগ্য প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাঁদের মতে, জোড়া কলা খেলে নাকি যমজ সন্তান হয় (why we shouldn’t eat twin bananas?)। আর এই কারণে অনেকেই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জোড়া কলা খেতে বারণ করে। এই নিষেধাজ্ঞা এতটাই জোরালো হয় যে, কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি জোড়া কলা খেয়ে ফেলেন রীতিমতো ঝামেলা দেখা দেয় বহু বাড়িতে। এই কথাগুলো ঠিক কতটা সত্য? এর পিছনে কি আদৌ বৈজ্ঞানিক সত্যতা রয়েছে? চলুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
(Twin Banana Myth) জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান হয়?
বিজ্ঞানে এই বক্তব্যকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাই জোড়া কলা খাওয়ার সঙ্গে যমজ সন্তান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
ফুডলি ম্যাগাজিনের তরফে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনেই জোড়া কলার সঙ্গে যমজ সন্তান হওয়ার সম্পর্ককে পুরোপুরি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রেইজিং চিলড্রেন নেটওয়ার্ক ও ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তরফে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, এই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে প্রচলিত কুসংস্কার ও এর মধ্যে আংশিক সত্যতাও নেই। অর্থাৎ জোড়া কলা খাওয়ার কারণে যমজ সন্তান হয় না।
(Twin Banana Myth) How Twins are born?
যমজ সাধারণত দুই প্রকারের হয়। একটি আইডেনটিক্যাল টুইন (Identical Twin) এবং অপরটি নন-আইডেনটিক্যাল টুইন (Non-identical twin)। নিম্নে এঁদের সৃষ্টি হওয়ার কারণ আলোচনা করা হল (Reason behind creation twins)
১. আইডেনটিক্যাল টুইন: এক্ষেত্রে যমজরা মূলত একটি জাইগোট থেকে তৈরি হয়। শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে জাইগোট উৎপন্ন হয়। একটি জাইগোট থেকেই দুটো ভিন্ন ভ্রূণ তৈরি হলে যমজরা আইডেনটিক্যাল হয়, অর্থাৎ দেখতে একই রকমের হয়।
২. নন-আইডেনটিক্যাল টুইন: ভিন্ন ভিন্ন দুই ডিম্বাণু একইসঙ্গে সময়ে শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হলে যমজ সন্তান জন্মায়। এটিই নন-আইডেনটিক্যাল হল। এক্ষেত্রে জমজ সন্তানরা দেখতে পরস্পরের থেকে আলাদা হতে পারে। এমনকি এদের লিঙ্গও আলাদা হতে পারে।