Vastu Tips: এই দুনিয়ায় বেশ কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা দান করার জন্য কোনো অনুষ্ঠান বা সুযোগের অপেক্ষা করেন না। তাঁরা সম্ভব হলেই নিয়মিতভাবে দানধ্যান করে থাকেন। দানধ্যানের কাজ খুবই মহৎ কাজ। এই কাজ করলে পুণ্য অর্জন করা যায়। তবে বিশেষ কিছু জিনিস আছে, যেগুলো দান করতে নেই। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, সেই সমস্ত জিনিস দান করলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বিঘ্নিত হতে পারে। নিম্নে এই বিষয়েই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
বাস্তুশাস্ত্র মতে কী কী দান করবেন না?
১. অন্ন দান: এমনিতে অন্ন দান করা খুবই পুণ্যের কাজ। কোনো ব্যক্তি যদি দরিদ্র বা ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে অন্ন দান করে, তা উক্ত ব্যক্তির জন্য সৌভাগ্যের দ্বার খুলে দেয়। অন্ন দান করার থাকলে কখনওই বাসি-পচা বা এঁটো খাবার দেওয়া যাবে না। কারণ, এই ধরণের খাবার দেওয়ার অর্থ তাঁর অপমান করা। এই ঘটনার জেরে রুষ্ট হতে পারেন দেবী অন্নপূর্ণাও।
২. মা লক্ষ্মীর মূর্তি দান: বাস্তুশাস্ত্রে মা লক্ষ্মীর মূর্তি দান করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি, কোনো সোনা বা রূপোর কয়েনে যদি মা লক্ষ্মীর মূর্তি আঁকা থাকে, সেটাও দিতে মানা করা হয়েছে। মা লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। সেই হিসেবে মা লক্ষ্মীর মূর্তি বিদায় করা মানে লক্ষ্মীকে বিদায় জানানো।
৩. ধর্মীগ্রন্থ দান: বাস্তুশাস্ত্রে ধর্মীয় পুস্তক দান করার ব্যাপারে লেখা রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী, ধর্মীয় পুস্তক একজন আস্তিক ব্যক্তিকে দান করা যেতে পারে, কিন্তু একজন নাস্তিক ব্যক্তিকে দান করা যাবে না। এর কারণ হিসেবে বলা আছে, নাস্তিক ব্যক্তিরা সাধারণত ধর্মগ্রন্থের প্রতি আগ্রহী হন না। তাই তাঁদের ধর্মগ্রন্থ দেওয়াও অর্থহীন।
৪. পাত্র দান: শাস্ত্রে পাত্রদান নিয়েও বলা আছে। সেখানে পাত্র দান করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। যেমন, কোনো এক ব্যক্তি অপর কোনো দরিদ্র বা অসহায় ব্যক্তিকে পাত্র দান করতে পারেন। কিন্তু, যে ব্যক্তি সেই পাত্র ব্যবহার করবে না বা পরে ফেলে দিতে পারে, সেই সমস্ত ব্যক্তিকে পাত্র দান করা চলবে না।