WBBSE Registration: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য অ্যাডমিট কার্ড বাধ্যতামূলক। এই অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার আগে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেতেই হয়। রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য স্কুলে নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড নির্ভুলভাবে এলেও, প্রত্যেকবারই কোনো বা কোনো পড়ুয়ার এই কার্ডে ভুল থাকতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যান পড়ুয়ারা। কার্ডে থাকা ভুল সংশোধন করার জন্য ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হতো ছাত্রছাত্রীরা। এইবার এই বিষয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত জরিমানা এবার স্কুল দেবে।
(WBBSE Registration) রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন কেন্দ্রীক পর্ষদের সিদ্ধান্ত
১. ক্লাস নাইনের রেজিস্ট্রেশন কার্ডকে কেন্দ্র করে ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে তথা বৃহস্পতিবারে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে।
২. উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল থাকলে, সেটার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ভুল সংশোধন করার জরিমানা স্কুলকে দিতে হবে। এই জরিমানার ভার পড়ুয়া বা তাদের অভিভাবকদের উপরে চাপালে হবে না।
৩. বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তথ্য যাচাই ও ভুল সংশোধননের সময় সীমা। এই তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
(WBBSE Registration) রেজিস্ট্রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া
প্রথমে ক্লাস নাইনে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা ফর্ম ফিলআপ করানো হয়। এরপরে পর্ষদের তরফে চেক লিস্ট পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোতে। চলতি বছরে এই কাজ হয়েছে অনলাইনেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো তালিকা যাচাই করে দেখে। এই কাজটি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে পড়ুয়াদের দ্বারা করানো হয়। কাজ সম্পন্ন হলে সেই চেকলিস্ট পর্ষদের কাছ পাঠিয়ে দেয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এরপরেও কীভাবে রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল দেখা দেয়, সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন!
২০২৩ সালে অনলাইন যাচাইয়ের সময়ে ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৬২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৭০ হাজার ৫৩২টি পড়ুয়ার তথ্য ইতিমধ্যে সংশোধন করেছে স্কুল। এই সংশোধন করার পরেও ভুল ধরা পড়েছে কার্ডে। ৩২টি স্কুল ৭২জন ছাত্রছাত্রীর তথ্য দুবার দিয়েছে, ৩৪টি স্কুল ৪৬ জন পড়ুয়ার তথ্য পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। সর্বোপরি ১৮২টি স্কুল তথ্য যাচাইয়ের কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য লগিনই করেনি। যা দেখে ক্ষুদ্ধ পর্ষদ!