Marriage Registration New Rule: বঙ্গে বিবাহ নিবন্ধনের পদ্ধতিতে এলো আমূল পরিবর্তন। বাধ্যতামূলক করা হল আঙুলের ছাপ। ভাবছেন হয়তো এ আর নতুন কোথায়! জানিয়ে রাখি, এবার থেকে বর-কনে ও তিনজন সাক্ষীর বায়োমেট্রিক ছাপ সংরক্ষিত থাকবে ডেটাবেসে। এই বিষয়ে বিস্তারে জানতে পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদন।
বিবাহ নিবন্ধন বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট (Marriage Registration Biometric Fingerprint)
১. ২০২২ সালে রাজ্য সরকার বিয়ের নিয়মে সংশোধন করে। সেই নিয়মই সম্প্রতি কার্যকরী হয়েছে।
২. নভেম্বরে প্রথম তারিখ থেকে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৩. বর (Groom), বধূ (Bride) ও তিনজন সাক্ষীকে এই বায়োমেট্রিক রেকর্ডের অংশ হতে হবে।
৪. বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জায়গায় রেজিস্ট্রাররা সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ও ল্যাপটপ নিয়েই বসে থাকবেন।
৫. সূত্রের খবর অনুযায়ী, নভেম্বরের ১লা তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে মোট ২৭০০টির অধিক বিয়ে রেজিস্টার হয়েছে এবং প্রায় ৫৭৬৮টিরও অধিক বিয়ের আবেদন জমা পড়েছে।
বিবাহ নিবন্ধন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার সুবিধা (Advantages of Biometric Systems in marriage registration)
১. বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার দৌলতে নিবন্ধনকারীরা এবার নিজেদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করতে পারবে।
২. লগ ইন করার পরে ৩০ মিনিট সময় পাওয়া যাবে।
৩. সেই ৩০ মিনিটের সেশনের মধ্যেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে।
৪. ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা হ্যাক হবে না। কারণ, সেগুলো সংগ্রহ করার পরে এনক্রিপ্ট ও মাস্ক করে দেওয়া হবে।
বিবাহ নিবন্ধন বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (Important Notes on Marriage Registration Biometric Fingerprint)
১. এখনও পর্যন্ত এই আইন সমস্ত বিবাহ আইনের উপরে কার্যকরী হয়নি।
২. আপাতত বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা ‘বিশেষ বিবাহ আইন, ১৯৫৪’ ও ‘হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৪’-এর উপরে লাগু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থার আওতায় সমস্ত বিবাহ আইনই চলে আসবে।